ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

international standard university
international standard university
adbilive
adbilive
মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে: তালুকদার দুলু

মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে: তালুকদার দুলু

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। তারা ভালোবাসে আওয়ামী লীগকে। সবচেয়ে বেশি হিন্দু নির্যাতিত হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। নাটোরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নির্যাতন করে ভারতে যেতে বাধ্য করছে। তখন কিন্তু ভারত কিছু বলত না। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে তারা বাংলাদেশকে ইচ্ছেমতো লুটপাট করতে পারে। তাই মোদির দরদ শুধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য, হিন্দুদের জন্য নয়।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবিময় কনসার্টে শ্রোতাদের মুগ্ধতা

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবিময় কনসার্টে শ্রোতাদের মুগ্ধতা

রাজধানীর গানপ্রেমীদের জন্য দিনটি ছিল দারুণ আনন্দের। বিচিত্রি সুরের অবগাহনে   কেটে গেছে তাদের দুরন্ত সময়। সুরেলা সেই সফরের শুরুটা হলো বিকেলে। শ্রোতাদের মুগ্ধতার আবেশে ভাসানো সংগীতাসরটির সমাপ্তি হয় রাতে। মাঝে কয়েক ঘন্টার সুরের  স্রোতধারায় আবিষ্ট হলো মন-প্রাণ।  সেই মুগ্ধতার অনুভবে কখনো বা শিল্পীর কণ্ঠের সমান্তরালে সুর মিলিয়েছেন। আবার কখনো উচ্ছ্বাসে জমিন থেকে শরীরকে শূন্যে ভাসিয়ে নেচেছেন গানের তালে। এই গানের আসরে পরিবেশিত হয়েছে নানা ধারার গান। সেই সুবাদে বৈচিত্র্যের অনুসন্ধানী কনসার্টটিতে শ্রোতারা শুনতে পেয়েছেন দেশীয় ব্যান্ডসংগীতের সঙ্গে র‌্যাপ শিল্পীদের মনমাতানো গান।  সেই সঙ্গে  শোনা হয়েছে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীতধারা কাওয়ালি থেকে বলিউডের সিনেমার গান।  শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই কনসার্টের শিরোনাম ছিল ‘ইকোস অব   রেভল্যুশন’।  জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য এই চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামের  প্লাটফর্ম। অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবিময় এ কনসার্ট থেকে আয়কৃত অর্থ শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে অনুদান  দেওয়া হবে।

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ’বিশেষ বন্দিশালা’

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ’বিশেষ বন্দিশালা’

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য বিশেষ বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুম্বাইয়ে অবৈধ অভিবাসীদের রাখার জন্য একটি উন্নত ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অবৈধ বাংলাদেশিরা মাদকের মামলা বা অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। তবে তাদের সরাসরি কারাগারে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ডিটেনশন সেন্টারে রাখার প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি) ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য জমি বরাদ্দ দিলেও সেটি ক্যাম্পের নিয়ম অনুযায়ী উপযুক্ত নয়। তাই নতুন জমির জন্য আবেদন করা হয়েছে। মুম্বাইয়ে এই ডিটেনশন সেন্টার উন্নত মানের হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্লেয়ারদের বড় ভূমিকা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্লেয়ারদের বড় ভূমিকা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্লেয়ারদের ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বিনিয়োগকারীদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আবার শেয়ারের দাম কমে গেলে আন্দোলন করেন। আমি কখনোই এর পক্ষে নই। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ৬ষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। একই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতিতে এ মুহূর্তে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে এখন আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ চলছে এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাও সন্তোষজনক পর্যায়ে। যথাযথ পদক্ষেপ নিলে অন্য তিনটির ক্ষেত্রেও ২০২৫ সালের মধ্যে ইতিবাচক কিছু দেখা যাবে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ব্যাংকিং অ্যালমানাকের বোর্ড অব এডিটরসের সদস্য, অ্যাসোসিয়েশোন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি)- সাবেক চেয়ারম্যান এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, অ্যালমানাকের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। দেশের ব্যাংকিং সেবা, বৈচিত্র্যের তথ্য-উপাত্ত জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য বিষয়ে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্য রয়েছে ব্যাংকিং অ্যালমানাকে। এতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য রয়েছে। ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষাবিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘শিক্ষাবিচিত্রা’র উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে এটি প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল, শাখা, পণ্যের তালিকাসহ সবই আছে এ বইয়ে। এদিকে, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করেন। অনেক সময় না বুঝেই হুজুগে মহা আনন্দে শেয়ার কিনছেন, যার ন্যূনতম  কোনো মূল্য নেই। এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। তিনি বলেন, আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার (রেগুলেটর) অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার। সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। যেমন পতিত সরকার মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি নিয়ে তথ্য বিভ্রাট করেছে ইচ্ছাকৃতভাবেই। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাকে (বিবিএস) বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই যেন প্রকাশ হয়। তিনি বলেন, এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই।

প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার শুল্ক ছাড়

প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার শুল্ক ছাড়

দেশে বছরে প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার শুল্ক-কর ছাড় দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর যা আদায় হয়, তার চেয়ে বেশি করছাড় দেওয়া হয়। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও শুল্কের ক্ষেত্রেও করছাড়ের পরিমাণ প্রায় আদায়ের কাছাকাছি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিনটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এনবিআরকে নানা ধরনের শর্ত ও লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ করছাড় কমাতে বলেছে। কয়েক দশক ধরে যে কর অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, তা বাতিলের জন্য সংস্থাটি আবারও চাপ দিয়েছে। তারা বলেছে, বিদ্যমান সব ধরনের করছাড় ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে তিন ধাপে বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া আয়কর আইনের ৭৬(১) ধারা বাতিলের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে করছাড় দেওয়ার স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা বাতিলের শর্ত মানতে বলেছে। এনবিআর নিজেও এখন অবশ্য করছাড় ধীরে ধীরে উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে। তারা আইএমএফের শর্ত আরোপের পর করছাড় বিষয়ে তিনটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ নিয়ে এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, এরই মধ্যে এনবিআর আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কসংক্রান্ত কর অব্যাহতির বিষয়ে বিস্তারিত সমীক্ষা করেছে। এখন আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, কোন খাতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন এবং কোন খাত ইতোমধ্যে যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছে। সহায়তা পাওয়া খাতগুলোর ওপর থেকে ধীরে ধীরে সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে আইএমএফের শর্ত পালনে এনবিআর ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়ে তিনটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায় আয়কর, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও আবগারি শুল্ক মিলিয়ে এক অর্থবছরে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪১০ কোটি টাকার ছাড় দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি করছাড় দেওয়া হয় ভ্যাট খাতে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়, যা ওই বছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। সেই অর্থবছরে এই খাতে এনবিআর আদায় করেছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সেবার যত ভ্যাট আদায় হয়েছে, তার প্রায় ৮২ শতাংশের মতো ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছাড় না দিলে ভ্যাট খাতে এই অর্থবছরে আদায় হতো ২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। মূলত অব্যাহতি কিংবা শুল্ক-করের হার কমিয়ে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাট অবকাশ বন্ধ করা ও সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করাসহ নিয়ম-নীতি পরিপালন করা গেলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় করা যেত, কিন্তু সেবার আদায় হয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ভ্যাট গ্যাপ বা সম্ভাবনা ও আদায়ের মধ্যে ঘাটতি ছিল প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। আয়কর খাতে আদায়ের চেয়ে ছাড়ের পরিমাণ বেশি।

বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম ১৪ শতাংশ কমেছে

বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম ১৪ শতাংশ কমেছে

বিশ্ববাজারে অবশেষে পাম তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি থেমেছে। শুধু থামেইনি, বরং কমতেও শুর করেছে। গত দুই সপ্তাহে পণ্যটির দাম প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে। আর প্রতি টন হিসেবে কমেছে প্রায় ১৫০ মার্কিন ডলার। দাম কমার এই খবর বাংলাদেশের ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির হতে পারে। কারণ, বিশ্ববাজারে দাম কমার পর দেশের পাইকারি বাজারেও পাম তেলের দাম ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে। তবে খুচরায় দাম কোনো প্রভাব নেই। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে তিন সপ্তাহ আগে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম সর্বোচ্চ ১৫৪ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সেই পাম তেল বেচাকেনা হয়েছে ১৪৩ টাকা লিটার দরে। খুচরা পর্যায়ে অবশ্য এখনো পুরোপুরি দাম কমার প্রভাব পড়েনি। পণ্য বিপণনকারী সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে খুচরায় বর্তমানে প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ থেকে ১৫৭ টাকায়। বাংলাদেশে প্রধান দুটি ভোজ্যতেল হচ্ছে সয়াবিন ও পাম। দুটি তেলের মোট আমদানির প্রায় ৭০ শতাংশই পাম তেল। মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রসাধন ও কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট শিল্প এবং হোটেল-রেস্তোরাঁতেই পাম তেল বেশি ব্যবহৃত হয়। আবার সয়াবিনের চেয়ে কম দামের কারণেও এটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে প্রধান ভোজ্যতেল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে পাম তেল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। বছরে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টন পাম তেল আমদানি হয়। এ তেল আমদানিতে বছরে দেশের প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাম তেল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ১৪৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে পণ্যটি আমদানিতে খরচ কমবে। তাতে ডলারের ওপরও কিছুটা চাপ কমতে পারে। মালয়েশিয়ায় উৎপাদন কম ও ইন্দোনেশিয়ায় আগামী জানুয়ারিতে বায়োডিজেলে পাম বীজের ব্যবহার ৫ শতাংশ বাড়বে, এমন আভাসের কারণে তিন মাস ধরে পাম তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল।